করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রনের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। এরপর এই ধরনের জন্য টিকার আলাদা বুস্টার ডোজ তৈরির কাজ শুরু করে টিকা তৈরিকারক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, মডার্নার তৈরি বুস্টার ডোজ বানরের শরীরে যে ধরনের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা তৈরি করে, ঠিক একই ধরনের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা তৈরি করে করোনার সাধারণ টিকাও।
গবেষণা থেকে এই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, অমিক্রনের জন্য আলাদাভাবে টিকার বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই।
ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্না গত সপ্তাহের মানবদেহে অমিক্রনের জন্য তৈরি বুস্টার ডোজের পরীক্ষা চালিয়েছে।
এদিকে মানবদেহে অমিক্রনের জন্য তৈরি বুস্টার ডোজের যে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে, সেই পরীক্ষার প্রতিবেদনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এই বুস্টার ডোজ দেওয়ার পর রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার কী হয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায় কি না, এটা জানতে অপেক্ষা করছেন গবেষকেরা।বানরের ওপর যে গবেষণা চালানো হয়েছে, তার নেতৃত্ব দিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাচ ডিজিজের সেলুলার ইমিউনোলজি বিভাগের প্রধান রবার্ট সেডার। তিনি বলেন, অমিক্রন ঠিক ইনফ্লুয়েঞ্জা নয়। এটি এখনো ইনফ্লুয়েঞ্জার পর্যায়ে নেমে আসেনি যে টিকায় পরিবর্তন আনতে হবে।
এ গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনার টিকার তৃতীয় ডোজ শুধু ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি পরিমাণই বাড়াচ্ছে না; করোনার নতুন ধরনগুলো প্রতিরোধ করতেও অ্যান্টিবডিকে এগিয়ে দেয়। সেডার বলেন, অমিক্রনের জন্য আলাদা টিকার দরকার নেই। তবে এই ধরন যদি প্রভাব বিস্তারকারী হিসেবে রয়ে যায় এবং এই অমিক্রন থেকে পরিবর্তিত হয়ে নতুন ধরন তৈরি হয়, তবে টিকায় পরিবর্তন আনতে হতে পারে।