চরম রাজনৈতিক, জনস্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংকটের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন।
হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা জোরদার, করোনা সংকট এবং ট্রাম্পের যোগ না দেওয়ার ঘোষণার কারণে একদমই ব্যতিক্রমী হতে যাচ্ছে শপথ অনুষ্ঠান। শপথ নেওয়ার পর বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হবেন জো বাইডেন। তবে নানা কারণে বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
যুক্তরাষ্ট্রে এতদিন শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে বরণ করে নেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে দেড়শ’ বছরেরও বেশি সময়ের সেই ঐতিহ্য ভাঙতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার সকালেই ওয়াশিংটন ডিসি ছেড়ে ফ্লোরিডা চলে যাবেন ট্রাম্প। সামরিক কায়দায় বিদায় দেওয়া হবে তাকে। সবশেষ ১৮৬৯ সালে ইউলিসেস গ্র্যান্টের শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসন।
তবে বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
শপথগ্রহণ দেখতে ক্যাপিটল হিলের ন্যাশনাল মলে সাধারণত লাখো মানুষের ভিড় হয়। জাঁকজমকপূর্ণ গালা, দুপুরে খাবার, অভিষেক বল এবং আকর্ষণীয় প্যারেডের মধ্য দিয়ে জমকালোভাবে বরণ করে নেয়া হয় মার্কিন মুলুকের নতুন শাসনকর্তাকে।
তবে করোনা সংক্রমণ রুখতে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান।
শপথ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে হামলার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। ওয়াশিংটন ডিসিতে ২৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ক্যাপিটল ভবন এবং ডেমোক্র্যাট নেতাদের বাড়িতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকারি স্থাপনাগুলোকে অস্থায়ী বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।
করোনা এবং নিরাপত্তা শঙ্কায় এবার অভিষেক বল স্থগিত করা হয়েছে। প্যারেড এবার সশরীরে নয় বরং দেখতে হবে ভার্চুয়ালি। এছাড়া পুরো আয়োজনই গণমাধ্যমে এবং বাইডেনের ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। মার্কিন ইতিহাসে এই প্রথম জরুরি অবস্থা’র মধ্যে শপথ নেবেন কোন প্রেসিডেন্ট।