করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় টিকা তৈরির জন্য গত বছর ১ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে সফলতাও এসেছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি টিকা বাজারে এসেছে। এবার আরেকটি পদক্ষেপ নিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। করোনা প্রতিরোধে ওষুধ (ট্যাবলেট) তৈরির জন্য গবেষণায় ৩০০ কোটি ডলার দিচ্ছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ আসতে পারে এই ট্যাবলেট। যা দিয়ে আগামী বছরগুলোয় হাজারো মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে। যদিও এই ওষুধ বা বড়ি তৈরির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট গবেষণা ক্ষেত্রটি এখন পর্যন্ত অবহেলিত রয়ে গেছে।
নতুন এই কর্মসূচি গতকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা দপ্তর এই ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে আশাব্যঞ্জক যেসব ওষুধ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে, সেগুলো নিয়ে গবেষণার গতি বৃদ্ধি পাবে। আর এই গবেষণা যদি ঠিকঠাক চলে, তবে বছরের শেষ নাগাদ কয়েকটি করোনার ট্যাবলেট বাজারে আসতে পারে।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, নতুন এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য অ্যান্টিভাইরাল প্রোগ্রাম ফর পেনডেমিকস’। এর মাধ্যমে শুধু করোনার ওষুধ তৈরির জন্য নয়, আগামী দিনে যেসব রোগের মহামারি আসতে পারে, সেসব মহামারি মোকাবিলায় নতুন ওষুধ তৈরিতে গবেষণার জন্য এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি বলেন, একটা সময় গিয়ে তিনি দেখতে চান একজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ওষুধের দোকানে গিয়ে অ্যান্টিভাইরাল বড়ি কিনছেন।
করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ অ্যান্টিভাইরাল ওষুধই ব্যর্থ হয়েছে। এখন অবশ্য বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, করোনার আক্রান্ত হওয়ার প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে একে ঠেকিয়ে দেওয়ার সবচেয়ে উত্তম সময়।