করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকায় আটকে থাকা চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দীর্ঘ হচ্ছে। তবে শিক্ষা বোর্ডগুলো এখনো সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে। এ জন্য এসএসসির প্রশ্নপত্র ছাপা এবং ফরম পূরণের কাজও প্রায় শেষ। এইচএসসির প্রশ্নপত্র প্রণয়নের কাজও চলছে। এরপরেও যদি করোনার সার্বিক পরিস্থিতি পরীক্ষা না নেওয়ার মতো হয়, তাহলে বিকল্পভাবে মূল্যায়নের প্রাথমিক চিন্তাও আছে।

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা, পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনে আরও অপেক্ষা করা উচিত। কারণ, পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন করলে শিক্ষার্থীদের ওপর সামাজিক প্রভাব যেমন পড়ে, তেমনি শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সময়ে চাকরিসহ বিভিন্ন কাজেও সমস্যা হতে পারে।

সাধারণত প্রতিবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি এবং এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। কিন্তু করোনার কারণে গত বছর থেকে পুরো শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি আছে।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা হলো, এ বছর সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে ৬০ দিন ক্লাস করিয়ে এসএসসি এবং ৮৪ দিন শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার। কিন্তু এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ওপর। কারণ, পরিকল্পনায় রয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর প্রথম দিকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস করিয়ে পাঠ্যসূচি শেষ করা। কিন্তু কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে, তা নিশ্চিত নয়।

এ রকম পরিস্থিতিতে বিকল্প ভাবনা নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি না, তা এ মুহূর্তে বলে দেওয়া যাচ্ছে না। এখনো চেষ্টা হচ্ছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পরীক্ষা না নিতে পারলে বিকল্প কী মূল্যায়ন হতে পারে, সেসব নিয়েও কাজ চলছে। পরীক্ষা নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে আরও কিছুদিন দেখতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যদি একেবারেই সম্ভব না হয়, তাহলে বিকল্প অনেক কিছু চিন্তা করার আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *