কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জনপ্রিয়তা বাড়াতে বছরজুড়ে প্রচার কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কারিগরি সহায়তায় স্কিলস-২১ প্রকল্পে এ কর্মসূচির একটি কৌশলপত্র তৈরি করেছে।

আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, চিফ ইনস্ট্রাকটর এবং কারিগরি শিক্ষা বিভাগ ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেন।

এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষায় তরুণদের আগ্রহ তৈরি এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। উন্নত দেশের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশেও আজকাল কারিগরি শিক্ষার প্রসার নিয়ে গবেষণা চলছে। উন্নয়নের ধারবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারও এটি অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছে। আমরা চাই, আরও বেশিসংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় আকৃষ্ট হয়ে দক্ষ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়ক হয়ে উঠুক।’

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটি আইনেন বলেন, প্রচার কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো, উপযুক্ত মাধ্যম ব্যবহার করে অভীষ্ট জনগোষ্ঠীর কাছে সুনির্দিষ্ট বার্তা পৌছে দেওয়া। যেমন দক্ষতা প্রশিক্ষণ, চাকরির সুযোগ ও শোভন কর্মসংস্থান। তরুণেরা যেন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার পথ খুঁজে নিতে পারেন। করোনা–পরবর্তী পৃথিবীতে এটিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

কর্মশালায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব কো–অপারেশন মরিজিও সিয়ান জানান, বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার পুনর্গঠনে ২০০৭ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাজ করছে। জাতীয় দক্ষতা নীতি ২০১১, কারিগরি শিক্ষা কাঠামো, কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে অর্থায়ন করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষার ব্যপ্তি, কার্যকারিতা, প্রেক্ষাপট বিষয়ে তরুণদের স্পষ্ট ধারণা দিতে কার্যকর প্রচার কর্মসূচির তাগিদ দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি।

কর্মশালায় অন্য বক্তারা বলেন, দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ মুহূর্তে জনমিতির লভ্যাংশের সর্বোচ্চ ব্যবহার কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, তার তাগিদ অনুভব করছে। প্রতিবছর শ্রমবাজারেও ঢুকছে অন্তত ২০ লাখ তরুণ। তাঁদের দক্ষ জনগোষ্ঠীতে পরিণত করতে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মান বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেন বক্তারা।
কর্মশালায় জানানো হয়, দেশজুড়ে বিশদ কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পাইলট কর্মসূচি শুরু হচ্ছে সিলেট টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এর পরের কর্মসূচি রয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং গাইবান্ধা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *