করোনাভাইরাসের অভিঘাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। আর এ সময়ে দেশের প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ ও মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শিখতে না পারার (লার্নিং লস) ঝুঁকিতে আছে। পুনরুদ্ধার কর্মসূচি হাতে নিয়ে এদের না শেখালে তারা ঝরে পড়বে। বেসরকারি এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণাটি শহর ও মফস্বলের প্রায় ৬ হাজার ৯৯ জন অভিভাবকের ওপর জরিপের ভিত্তিতে করা হয়েছে। গত ১১ থেকে ৩১ মার্চ এ জরিপ করা হয়।

গবেষণাটি করেছে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)। আজ সোমবার অনলাইনে এক অনুষ্ঠানে গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন।

একটি ইতিবাচক তথ্যও উঠে এসেছে গবেষণায়। জরিপে অংশ নেওয়া ৯৭ দশমিক ৭ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এবং মাধ্যমিকের ৯৬ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, পুনরায় স্কুল খুললে তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন। গবেষণায় পুনরায় স্কুল খোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসে গতিবিধি দেখে স্কুল খোলার দিনক্ষণ ঠিক করতে হবে।

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ মে থেকে স্কুল–কলেজ এবং ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিদ্যমান পরিস্থিতি থাকলে ঘোষিত সময়ে খুলবে কি না, তা বলা যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *