বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সংস্থার পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী এক সপ্তাহের ব্যবধানে সংক্রমণ ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ঠিক কী কারণে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানও বলছে, দেশে করোনার সংক্রমণে কিছুটা হলেও ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশে ৩ হাজার ৩৪০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৬৩ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮৭। এর অর্থ হচ্ছে ১০০ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তির মধ্যে ১০ জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত। এ ছাড়া এ সময়ে করোনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৈশ্বিকভাবে করোনার সংক্রমণ কমছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থার সর্বশেষ সাপ্তাহিক রোগতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, আগের সপ্তাহের তুলনায় সর্বশেষ সপ্তাহে সারা বিশ্বে সংক্রমণ ২৮ শতাংশ কমেছে। তবে বিশ্বের সব দেশে বা অঞ্চলে তা কমেনি। কোনো কোনো দেশ বা অঞ্চলে সংক্রমণ বেড়েছে। সরকারি হিসাবেই দেখা যাচ্ছিল, বাংলাদেশে গত দেড়–দুই সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশে সংক্রমণ ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে একই সময়ে বেড়েছে ১১৭ শতাংশ।
জনস্বাস্থ্যবিদদের একটি অংশ বলছে, করোনার সংক্রমণ একেবারে শেষ হয়ে যাবে না। তবে করোনার উপসর্গের তীব্রতা কমে আসবে বলে আশা করা যায়। তাঁরা ধারণা করছেন, করোনা অনেকটা মৌসুমি জ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো হয়ে পড়বে।
এখন পর্যন্ত দেশে ২০ লাখ ১৬ হাজার ৯৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৪৭ জন। করোনায় মারা গেছেন ২৯ হাজার ৩৩৯ জন।
দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণের চিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা দেখা গেছে। গত বছরের শেষ দিক থেকে গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি করোনার অমিক্রন ধরনের দাপট চলে। ১৩ সেপ্টেম্বর শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৫৫।