বর্তমান সময়ে বিদেশভ্রমণ পুনরায় চালু করার একমাত্র উপায় ‘কোভিড পাসপোর্ট’ বলে মনে করেন দুবাই বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী পল গ্রিফিথস। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দরের এই প্রধান মনে করেন না যে এর কোনো বিকল্প আছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
অন্যদিকে সমালোচকেরা মনে করছেন, যারা টিকা দিতে পারেনি, তাদের সঙ্গে এটি বৈষম্যমূলক আচরণ হবে। তবে পল গ্রিফিথস বলছেন, তিনি ভ্যাকসিন পাসপোর্টের পুরোপুরি সমর্থক, এটি অনিবার্য। ভ্যাকসিন পাসপোর্ট হবে কোভিড-১৯ এর টিকাগ্রহণের প্রমাণপত্র।
পল গ্রিফিথস বলেন, ‘আমি মনে করি না সমস্যাটি ভ্যাকসিন পাসপোর্ট এবং বৈষম্যের মধ্যে। আমি বরং মনে করি বিশ্বব্যাপী ন্যায়সংগত ও সঠিকভাবে ভ্যাকসিন কর্মসূচি বাস্তবায়ন প্রয়োজন।’
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিল অবশ্যম্ভাবী ভ্যাকসিন পাসপোর্ট সমর্থন করছে না। তারা আশঙ্কা করছে, এর মাধ্যমে সমাজ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়বে। গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষক মাইক রায়ান ভ্যাকসিন পাসপোর্টের নৈতিকতা এবং ন্যায্যতার নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত, বিশেষত এমন একটি বিশ্বে যেখানে ভ্যাকসিন অসম উপায়ে বিতরণ হচ্ছে।
২০১৯ সালে রেকর্ড ৮ কোটি ৬৩ লাখ মানুষ দুবাই বিমানবন্দর ব্যবহার করে। তবে করোনার কারণে ২০২০ সালে যা কমে ৭০ শতাংশ। গ্রিফিথস চাইছেন পরিস্থিতি আবার আগের মতো হোক। তিনি বলেন, ‘আমাদের ঝুঁকি এড়ানোর চেয়ে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুধু মনে করি না যে বিশ্ব যোগাযোগ ছাড়া দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারবে। একসঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে ও সামাজিক গতিশীলতা ছাড়া। তবে আমরা বুঝতে পারছি কেন সারা বিশ্ব এত রক্ষণশীল হয়ে উঠেছে।’
গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতি ৬ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।