বৃহস্পতিবার সাতসকালেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল থাইল্যান্ডে। পাঁচজনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তারপর ব্যাংককের রাস্তায় পুলিশে ছেয়ে গেছিল। তিন ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ছাত্রবিক্ষোভ ঠেকানো গেল না। জরুরি অবস্থায় কড়া ব্যবস্থা নেয়ার হুমকিকে অগ্রাহ্য করে প্রায় দশ হাজার ছাত্র ব্যাংককের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন। তাঁরা তাঁদের দাবি থেকে একচুলও সরতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হবে এবং রাজার ক্ষমতা কমাতে হবে।
ছাত্র ও যুবদের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে গেছে ২৬ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী ডেজকুনচর্নের কথায়। তিনি বলেছেন, ”আমি ভয় পাচ্ছি না। কারণ, জরুরি অবস্থা জারি থাকুক বা না থাকুক, আমাদের কোনো স্বাধীনতা নেই। আমি নিজের দেশে স্বাধীনতা চাই, অধিকার চাই। দেশকে দুষ্ট চক্রের হাত থেকে বাঁচাতে চাই।” তাই তাড়াতাড়ি নিজের কাজ সেরে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন তিনি।
বিক্ষোভকারীরা এখন গ্রেপ্তার করা তিন ছাত্রনেতাকে মুক্তির দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে যে বিরোধী নেতা ও প্রতিবাদকারীদের ধরা হয়েছে, সকলকে ছেড়ে দেয়ার দাবি করেছেন। তাঁদের হিসাব, এখনো পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জরুরি অবস্থা জারির পরই দাঙ্গারোধী পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়, তারা যেন কড়া হাতে বিক্ষোভের মোকাবিলা করে। সেই মতো সকালে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এই বিক্ষোভকারীরা সারারাত প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে বসেছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আগে সেনা প্রধান ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি ক্ষমতা দখল করেন। গত বছর বিতর্কিত নির্বাচনে জিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ছাত্ররা তাঁকে মানতে নারাজ।
প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই যে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পথে নামলেন, তাঁদের সরানো সম্ভব হয়নি। ফলে জরুরি অবস্থার প্রথম দিনে ব্যাংকক বিক্ষোভকারীদের দখলেই ছিল।