সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ২৫ বছরে পা রাখলো। সংগঠনটির রজতজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত অনুষ্ঠান গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ডিআরইউ’র রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারন সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।
রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ‘কর্মের গৌরবে প্রাণের সৌরভে বিপুল শক্তি একসাথে শতপ্রাণে’ স্লোগানকে সামনে রেখে ৪ দিনব্যাপী রজতজয়ন্তী উদযাপনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ডিআরইউ। কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ অক্টোবর। তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৩০ অক্টোবর আইডিইবি ভবনে। শেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৩১ অক্টোবর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা এরই মধ্যে সম্প্রসারণ ও প্রচারণা আইন প্রণয়ন করেছি। আমরা গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তার বিষয়টাও দেখছি। আমরা হলুদ সাংবাদিকতা রোধে কাজ কাজ করে যাচ্ছি। অসুস্থ-অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় সহায়তা করে আসছে।
ডিআরইউর রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার বলেন, ২৫ বছরে ডিআরইউর সব চেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে ইউনিটি বা একতা। এই সংগঠন সকল রিপোর্টারদের একমাত্র সংগঠন হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। এই সংগঠন রিপোর্টারদের আবেগের সংগঠন। আমি বিশ্বাস করি আমাদের ঐক্য ও সংহতি অব্যাহত থাকবে।
ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, রিপোর্টারদের দক্ষতা বৃদ্ধি, মান উন্নয়ন, মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে সমুন্নত কার জন্যই ২৫ বছর আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডিআরইউ আমাদের প্রাণের এবং আবেগের সংগঠন। আমরা আশা করি আমাদের এই ঐক্যকে ধারণ করে আগামী নেতৃত্ব ডিআরইউর কার্যক্রম ও মর্যাদাকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করি রিপোর্টার্স ইউনিটি সাংবাদিকদের সুখে-দুঃখে সবসময় আছে এবং থাকবে। আমি স্বপ্ন দেখি, আগামী ২৫ বছরে ডিআরইউর সদস্যদের জন্য নিজস্ব স্কুল থাকবে, কলেজ থাকবে এবং একটি জার্নালিজম ইনিস্টিটিউট থাকবে।
- সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ডিআরইউ সাধ্যের মধ্য থেকে রিপোর্টারদের পাশে ছিলো। এখনো আছে। মহামারি করোনাতে সেটা আরও ভালোভাবে প্রমাণ করেছে ডিআরইউ। ২৫ বছরে এসে যারা এই সংগঠনকে তিলে তিলে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা৷