করোনাকালে মানসিক অবসাদ ও উদ্বেগ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেন, এমন ১৫ জন চিকিৎসক জানিয়েছেন, করোনাকালে সাত ধরনের মানসিক রোগী তাঁদের কাছে বেশি আসছেন। করোনায় সংক্রমিত হবেন—এ নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ; করোনা সংক্রমিত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার পর মানসিক অবসাদ; আবারও করোনা হতে পারেন, এ নিয়ে ভয়; করোনা সংক্রমিত হয়ে যাঁরা ভর্তি আছেন, তাঁদের অতিরিক্ত ভয়; শিশু–কিশোরদের দীর্ঘদিন সামাজিক দূরত্বে থাকার ফলে বিষণ্নতা এবং চাকরি হারানো ও বেতন কমে যাওয়ার চাপ।
বেশির ভাগ চিকিৎসকই বলেছেন, অনেকে বুঝতেই পারেন না যে তাঁদের মানসিক সমস্যা হয়েছে। ফলে এই সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। তাঁদের মতে, করোনামুক্ত হওয়ার পর বেশির ভাগ মানুষই নানা জটিলতা নিয়ে আবার হাসপাতালে আসছেন।
‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য: অধিক বিনিয়োগ অবাধ সুযোগ’ স্লোগান নিয়ে আজ ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগে দিনে গড়ে ৬০০ রোগী আসত। এখন আড়াই শ’র মতো রোগী আসে। তবে এই রোগীদের বেশির ভাগই শহুরে এবং করোনাসংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ে আসছেন। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘যেকোনো চাপে মানসিক সমস্যা বাড়ে। আর করোনা তো মানুষকে সবদিক থেকে চাপে ফেলে দিয়েছে। তবে দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশের মানুষ তো অতটা সচেতন নয়, তাই এসব রোগী অন্য চিকিৎসকের কাছে যান। ফলে মানসিক স্বাস্থ্য অবহেলিত থেকে যায়।’
রোগীদের কী পরামর্শ দেওয়া হয়, জানতে চাইলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও একই প্রতিষ্ঠানের সহযোগী অধ্যাপক মেখলা সরকার বলেন, ‘আমাদের কাছে এলে আমরা থেরাপি ও মেডিকেশন দিই। এ ছাড়া কাউন্সেলিং করি।’