করোনাভাইরাসে নিশ্চিত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় নিলে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে। এই দুই বিভাগে মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে সংখ্যার দিক থেকে করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় নিলে ঢাকা বিভাগেই মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম।

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এই প্রতিবেদনে দেওয়া বিভাগওয়ারি মৃত্যুর সংখ্যার সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যের কিছুটা গরমিল পাওয়া গেছে। তবে মোট মৃত্যুর সংখ্যা একই আছে।

গতকাল পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট ৫ হাজার ৬৯৯ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে সরকার। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার পর্যন্ত দেশে মোট ৫ হাজার ৬৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই দিন পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে মোট ২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৮৭ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৯০৬ জনের মৃত্যু হয়। ঢাকা বিভাগে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ১ শতাংশ। অবশ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, সোমবার পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে মোট ২ হাজার ৯০৮ জনের মৃত্যু হয়। দেশে মোট মারা যাওয়া ব্যক্তিদের অর্ধেকই এই বিভাগের।

চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯ হাজার ২৮৮ জন আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১ হাজার ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বরিশালে ৮ হাজার ৬৯৮ জনের মধ্যে মারা গেছেন ২০০ জন। অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে রংপুর ও খুলনায় মৃত্যুর হার ২ শতাংশ, সিলেটে ১ দশমিক ৯, ময়মনসিংহে ১ দশমিক ৮ এবং রাজশাহীতে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

এদিকে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে মোট ১৩ হাজার ৬১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৮০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ।

৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে শুরু করে। জুনে পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *