শপথ অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের না থাকার সিদ্ধান্তে খুশি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন বলেছেন, শপথে ট্রাম্পের না যাওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিনি একমত। ট্রাম্পের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এমন হাতে গোনা কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে এটি একটি।

সিএনএনের খবরে জানা যায়, মন্ত্রিসভার মনোনীত সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করে দেওয়ার পর ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটনে স্থানীয় সময় শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ট্রাম্প লোক দেখানোর জন্য কিছু করছেন না। এটা খুব ভালো।

জো বাইডেন বলেন, ‘তাঁর (ট্রাম্প) সম্পর্কে আমার যে খারাপ ধারণা রয়েছে, সেটিকে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন। তিনি দেশের জন্য বিব্রতকর, বিশ্বের জন্য বিব্রতকর। এই দায়িত্বে থাকার তাঁর কোনো যোগ্যতা নেই।’তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘মাইক পেন্সকে স্বাগত। প্রশাসনের পরিবর্তনগুলো আনার ক্ষেত্রে অতীত অবস্থাটা বিবেচনা করাও জরুরি বলে আমি মনে করি। মাইক পেন্সকে এখানে পেয়ে আমরা সম্মানিতবোধ করছি। আমরা পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাব।’

বাইডেন বলেন, ট্রাম্পকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে অযোগ্য প্রেসিডেন্ট মনে করেন। তিনি চান যত দ্রুত সম্ভব ট্রাম্প সরে যাক। ক্ষমতা থেকে সরে যেতে ট্রাম্পের যদি আরও বেশি সময় লাগে, তাহলে অভিশংসনের জন্য চাপ দেবেন বলে জানান বাইডেন। তিনি বলেন, ভালো উপায় হলো ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়া। এর আগে বা পরে কী হবে, সে সিদ্ধান্ত কংগ্রেস নেবে। বাইডেন বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজ করব। কংগ্রেস তাদের সঙ্গে কী করবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে।’

বাইডেন বলেন, কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট গণনা নিয়ে বিরোধিতা করে যাঁরা নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের লজ্জা পাওয়া উচিত।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ, মামলা, যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে হামলায় উসকে দেওয়াসহ যা করেছেন, ট্রাম্পের তাতে শেষ রক্ষা হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ মসৃণ করার কথাও বলেছেন।

ট্রাম্প প্রশাসনে পদত্যাগের হিড়িকও পড়েছে। দুই মন্ত্রীসহ পদত্যাগ করেছেন বেশ কয়েকজন। ক্ষমতার মেয়াদ আর ১১ দিন থাকলেও সেই অপেক্ষাও আর করতে রাজি নন অনেকে। তাঁকে এখনই হোয়াইট হাউস থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে।
এদিকে ট্রাম্পের বক্তব্যে নতুন কোনো সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *