বরিশালে এক শিক্ষককে কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর ভিডিও ছরিয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওটি গত বুধবার ফেসবুকে প্রথম ছাড়া হয়।
ওই ব্যক্তি বরিশাল নগরের একটি বেসরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষক ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। তবে অনলাইনে পাঠদানের জন্য মাস দুয়েক আগে তাঁকে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ভিডিওতে দেখা যায়, ‘ছাত্রীকে বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভনে অনৈতিক প্রস্তাব দেব না’-শিক্ষককে দিয়ে এমন কথা বলাচ্ছেন কয়েকজন। এ কথা বলতে বলতে তিনি কান ধরে ওঠবস করছেন। ভিডিওতে কয়েকজনের কথা শোনা গেলেও কাউকে দেখা যায়নি। গত রবিবার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত জানিয়ে শিক্ষক বলেন, ‘আমার তো বেঁচে থাকার মত অবস্থা নেয়। যে অবস্থা, তাতে আমি মুখ দেখাব কিভাবে?’ ওই শিক্ষকের ভাষ্য, নার্সিং কলেজটির কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে তাঁর বিরোধ ছিল।এর মধ্যে ছিলেন ইমতিয়াজ ইমন ও তার স্ত্রী। দুজনই ক্লাস ফাঁকি দিতেন। পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে বলায় তারা ক্ষিপ্ত হন। ভিডিওটির বিষয়ে শিক্ষকের বক্তব্য, ২৫ আগস্ট তিনি নগরের চৌমাথা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানে ইমনসহ ৬-৭ জন আড্ডা দিচ্ছিলেন। তারা তাঁকে জোর করে অক্সফোর্ড মিশন রোডে নিয়ে যান। সেখানে একটি দোকানে বসিয়ে নানাভাবে অপমান করেন এবং তাঁকে চড় মারেন। পরে তাঁকে নেওয়া হয় নগরের কবরস্থান রোডের নির্জন স্থানে। সেখানে তাঁকে আবার মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে বিভিন্ন কথা বলিয়ে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। যোগাযোগ করলে ইমতিয়াজ ইমন গতকাল (সোমবার) বলেন, ‘ওই শিক্ষক মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। প্রতিবাদ করায় আমার উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। তাঁর কারণে আমার স্ত্রী এখনো পাস করতে পারেননি। এমন কাজ করবেন না মর্মে মুচলকা নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কান ধরে কথা গুলো বলেছেন।’ তবে ফেসবুকে ভিডিওটি ছাড়েননি বলে দাবি করেন ইমতিয়াজ ইমন। নার্সিং কলেজটির পরিচালক জানান, ভিডিওটি তিনি দেখেছেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো শিক্ষার্থী লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেনি। অথচ তাঁকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে।