সাইবার মাধ্যম বা অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে হেয় করা, বিরক্ত বা হয়রানি করা, ভয় দেখানো, প্রলুব্ধ করা, মানহানি বা অপমান করা প্রভৃতিকে বলা হয় সাইবার বুলিং। প্রচলিত আইনে সাইবার বুলিং একটি গুরুতর অপরাধ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ অনুযায়ী এই অপরাধের নির্ধারিত শাস্তি সর্বোচ্চ তিন বছর বা তিন লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা কিংবা উভয় দন্ড। যদি মানহানিকর কোনো কিছু প্রকাশ পায়, তাহলে তিন বছরের জেল বা জরিমানা হতে পারে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা কিংবা দুটোই। এ আইনে অপরাধের ধরন অনুযায়ী শাস্তির তারতম্য আছে। এছাড়া পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ীও রয়েছে কঠিন শাস্তি। যদি কেউ সাইবার বুলিং এর শিকার হন, তাহলে প্রথমেই তাকে আলামত বা প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সাইবার যেকোনো মাধ্যমেই হোক না কেন, প্রথমে স্ক্রিনশট এবং ওয়েব ঠিকানা (লিংক) রাখতে হবে। দ্রুত নিকটস্থ থানায় একটি ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। তারপর প্রতিকারের জন্য মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে জিডির কপিসহ লিখিত অভিযোগ করতে হবে। কেউ সরাসরি মামলা করতে চাইলে থানায় এজাহার দায়ের করতে হবে। থানায় মামলা না নিলে সাইবার ট্রাইব্যুনালে আইনজীবীর মাধ্যমেও মামলা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *